চকরিয়া প্রতিনিধি :

চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারী পার্কে দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সশস্ত্র ছিনতাইকারী দল পার্ক ভ্রমনে যাওয়া স্বামী-স্ত্রী দম্পতিকে ছুরিকাঘাত করে নগদ ১২ হাজার টাকা ও ২ টি দামী মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়েছে। গতকাল ০৩ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে সাফারী পার্কের অভ্যন্তরে জলহস্তীর বেষ্টনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত স্বামী ও স্ত্রীকে বর্তমানে মালুমঘাট খ্রীষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বামী মো:বেলাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ভ্রমনে আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ইদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার স্বামী-স্ত্রী দম্পতি। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা পার্কের অভ্যন্তরে জলহস্তীর বেষ্টনী এলাকায় গেলে ৪/৫ জনের সশস্ত্র ছিনতাইকারীদল পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বের হয়ে প্রথমে তাদের গতি রোধ করে, পরে স্বামীকে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং স্ত্রীকেও ছুরিকাহত করে তাদের কাছ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও ২ টি দামী ছিনিয়ে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর গা ঢাকা দেয়। পরে পার্কের দর্শনার্থীরা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মালুমঘাট হাসপাতালে ভর্তি করান।

চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওর্য়াডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী নাজেম উদ্দিন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তার বড় ভায়েরা আবদুস সালামের মেয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ভোমরিয়া ঘোনা এলাকার বাসিন্দা সাইমা আক্তার জেসি (৩২) ও তার স্বামী বেলাল উদ্দিন (৪২) শুক্রবার দুপুরে সাফারী পার্ক ভ্রমনে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। বেলাল উদ্দিনের গলায় ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। নগদ ১২ হাজার টাকা ও ২ টি দামী মোবাইল নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা আশংকা জনক অবস্থায় মালুমঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যপারে সাফারী পার্কের ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আর্মি বাহিরে রয়েছি। পার্কে গিয়ে বিষয়টি দেখবেন এবং খবর নিয়ে অভিযুক্ত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেবেন।

চকরিয়া থানার ওসি(তদন্ত) মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি, জানান বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদিকে পার্ক দেখতে আসা দর্শনার্থীদের অভিযোগ বর্তমানে সাফারী পার্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দর্শনার্থীদের কোন নিরাপত্তা নেই। প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে।